স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ৩০শে ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়েতের আব্বাসিয়া এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে সুনামগঞ্জ সমাজ কল্যাণ সমিতি (সুনামগঞ্জ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন) এর উদ্যোগে প্রথম বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস ২০১৬ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ও সভাপতি মুরাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২২৮ সুনামগঞ্জ ৫-আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খাঁন, দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জামান, দূতাবাসের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মিজানুর রহমান,
বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালেক চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা রেজু মিয়া, কুয়েত আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশারাক আলী ফেরদৌস, কুয়েত জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহমুদ আলী হাজী, রাজনৈতিক সংগঠক ওয়ারিছ মিয়া, সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠক সেলিম আহমেদ, সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েতের সভাপতি কবি আব্দুল মালিক, কুয়েত আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম,আব্দুল আহাদ, আওয়ামী নেতা ফয়েজ কামাল, আওয়ামী নেতা আতাউল গনি মামুন, বঙ্গবন্দু পরিষদ কুয়েত শাখার সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান, ফ্যামিলি ফোরাম কুয়েতের সভাপতি আব্দুল হাই, লেছু মিয়া, আনকার মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মুহিবুর রহমান মানিক বক্তব্য দিতে গিয়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন ইতিবাচক, উন্নয়নমূলক দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন খাতে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বক্তব্যের জবাবে, প্রধান অতিথি প্রবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
অতএব, অবশ্য’ই সবার আগে আপনাদের দাবি দাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
আমি দেশে পৌঁছার পর অবশ্য’ই আপনাদের দাবি গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করবো।
সুনামগঞ্জ সমাজ কল্যাণ সমিতির ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও সকল শ্রেণী- পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে স্থানীয় কণ্ঠশিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল মনোমুগ্ধকর সঙ্গীতানুষ্ঠান।